মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে : ইন্দিরা

IMG-8724.jpg

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা

নগর প্রতিবেদক :

বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাড়াতে না পারে। ১৫ আগস্ট শনিবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ঘাতকেরা ১৫ আগস্ট অন্তসত্তা নারী ও শিশুদেরও হত্যা করে। যা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড। খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা দেশকে আবার পাকিস্তানে পরিণত করতে চেয়েছিল। তবে তারা সফল হতে পারেনি। শত চেষ্টা ও ইতিহাস বিকৃতি করেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশের আটটি বিভাগের শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে শিশুদের উদ্দেশ্য বলেন, জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালবাসতেন ও তাদের সাথে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। দুস্থ ও অসহায় শিশুদের পরম মমতায় কাছে টেনে নিতেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৩ সালে ঢাকায় প্রেস ক্লাবে কচি কাচার মেলা আয়োজিত শিশু আনন্দ মেলায় এসে বলেছিলেন, ‘এই পবিত্র শিশুদের সঙ্গে মিশি মনটাকে হালকা করারর জন্য’।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক জ্যোতি লাল কুরী, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাকসুরা নূর, অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর – সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

সভাপতির বক্তৃতায় সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, জাতির পিতা সারাজীবন মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে গেছেন। এজন্য পঞ্চান্ন বছরের জীবনের ১৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন। তিনি এসময় বলেন, আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে কোরআন খানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া অনুষ্ঠানে মহিলা অ শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। আলচনা সভার পূর্বে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে দেশের আটটি বিভাগের শিশুরা বঙ্গবন্ধু বিষয়ে ছড়া, কবিতা ও স্বরচিত কবিতা পাঠের আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।