সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা মারা গেছেন

namul-huda.jpg

নাজমুল হুদা। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সাবেক তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা রোববার রাতে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, নাজমুল হুদা অনেক দিন ধরে উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে ঢাকার পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আক্কাস আলী খান গণমাধ্যমকে নাজমুল হুদা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ব্যারিস্টার হুদা দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন।

১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান জাগো দল গঠন করলে নাজমুল হুদা জাগো দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং তিনি ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য।

১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। ১/১১ পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। ২০১০ সালে ২১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০১২ সালে নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাস পরে আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে বহিষ্কার হন।

২০১৪ সালের ৭ মে মাসে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন এবং ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার গড়া তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন।

তিনি ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যারিস্টার সিগমা হুদা নাজমুল হুদার স্ত্রী। তাদের দুটি মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা।

scroll to top