রামগতিতে জমি দখলের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান জসিমের সংবাদ সম্মেলন

Ramgati-News-pic-ch-josim-land-problem-press-conference-31.08.2020.-p.jpg

রিয়াজ মাহমুদ বিনু-লক্ষ্মীপুর থেকে::

লক্ষ্মীপুরের রামগতির ২ নং চর বাদাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম ও তার ভাইয়ের পারিবারিক সম্পত্তি কৃষিজমি তারই জেঠাতো ভাই আলী হায়দার চৌধুরী গংরা মিথ্যা মামলা ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।  সোমবার (৩১ আগস্ট) সকালে রামগতি চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদে অনু্িঠত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চর বাদাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম।এসময় উপস্থিত ছিলেন তার ভাই নুরুল আমিন, ভাতিজা ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

তারা উল্লেখ করেন, তোরাব আলী হাওলাদার হেবা দলিলের মাধ্যমে তার ৩ সন্তানকে সমস্ত সম্পদ সমবন্টন করে যান। কিন্তু আলী হায়দার গং ২৮ একর জমি নানান কৌশলে ও জোরপূর্বক বেশী ভোগ করছে। এতদ্বস্বত্ত্বেও উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের কারামতিয়া বাজার সংলগ্ন পূর্ব চর সীতা মৌজার ২৭৯,৫৮৮,ও ৬৩৯ নং খতিয়ানের অন্দরে ১২ একর জমি নানান ছুতোয় দখলের অপচেষ্টা করছেন আলী হায়দর গংরা বলে অভিযোগ করেন তারা। এ ব্যপারে ভূক্তভোগী জসিম চেয়ারম্যানের ভাই নুরুল আমিন বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত লক্ষ্মীপুরে উল্লেখিত জমিতে শান্তি রক্ষার্থে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ৫৫/৩১ নং পূর্ব চর সীতা মৌজার ৫৮৮ নং দিয়ারা খতিয়ানের দাগ সমূহের অন্দরে তারা চর নেয়ামত ও পূর্ব চর সীতা মৌজার (৪৮১+৪১৯+৬১৯.৭৫) ১৫.২৭৭৫ সাবেক ২৫৮৬, ২৮৯, ৭২১০,৭২১১ ও ৭৪৭৬ দাগ মৌরশের আমল থেকে প্রায় ৭০ বছর ধরে নাল জমি হিসেবে চাষাবাদ করে আসছেন এবং তাদের ভোগদখলে রয়েছে।

মৌরশী সম্পত্তিটির রেকর্ড, খাজনা, দলিল, ও অন্যান্য কাগজপত্র তুলে ধরে তারাই প্রকৃত মালিক বলে তারা দাবী করে তিনি বলেন, ১৯৮৫ ইং সালে তার জেঠা আলহাজ ঈমান আলী পন্ডিত চর সীতা তোরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। তার জীবদ্দশায় তিনি সফিকুল হায়দার চৌধুরীকে কতেক জমি দান করেন। তার মৃত্যুর পরে জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত মৃত্যু রেজিষ্টারে লিখিত ঈমান আালী পন্ডিতের মৃত্যুর সন টেম্পারিং করে সফিকুল হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে জাল দলিল সৃজনের মিথ্যা মামলা করেন।

জসিম চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এ উপজেলার রাজনৈতিক সচেতন এবং সম্ভ্রান্ত পরিবার। ভদ্র ও স্বচ্ছ এবং আইনের প্রতি কঠোর শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সর্বজনবিদিত যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কখনোই আমাদের পরিবারের লাঠিয়াল বা সন্ত্রাসী বাহিনী ছিলনা। আমাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা মকদ্দমা নেই এবং ছিলনা। আমাদের পরিবারের ঈমান আলী পন্ডিত পাকিস্থান আমলে চেয়ারম্যান পরে তার ছেলে অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা চৌধুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের আমৃত্যু সভাপতি ও এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। কোন লোভ কখনো আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি। সুনাম ক্ষুন্ন করার মানষে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন বলেও তিনি দাবী করেন।

এ সময় তিনি আরো জানান, আমাদের মৌরশী সম্পত্তি আমরা পূর্ব পুরুষ থেকে ভোগ দখল ও চাষাবাদ করে আসছি। গত ২৮ আগষ্ট শুক্রবার ধান রোপন করতে গেলে আমার জেঠাতো ভাই আলী হায়দার ও তার ছেলেরাসহ বাধা দেয়। তাদের  অসভ্য আচরণে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তারা তাদের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে এখন আমাদের সম্পদের দিকে নজর দেয়। আমরা ন্যয় বিচার প্রত্যাশা করি। তারা আমাদের ভোগ দখলে দ্বীর্ঘসূত্রিতা আনয়নের জন্য মিথ্যা মামলা দেয়।

এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, সম্পত্তিটি নিয়ে উভয় পক্ষের পৃথক দুটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। কোন ক্রমেই যেন শান্তি শৃংখলা ভঙ্গ না হয় সে দিক নজর রয়েছে আমাদের।

scroll to top